সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। বৃষ্টি না হওয়ায় বাড়ছে রোদের তাপ। তার সাথে বিদ্যুৎতের ভেল্কিবাজি। একদিকে তীব্র গরম অন্যদিকে বিদ্যুৎতের লোডশেডিংয়ের কারণে শিক্ষার্থীরা ক্লাস ছেড়ে নেমে আসছে গাছতলায়।
শিক্ষকরাও অনেকটা বাধ্য হয়ে গাছের নিচে চালাচ্ছেন পাঠদান কার্যক্রম। দোয়ারাবাজারের ঘিলাছড়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে চোখে পড়ে এমন দৃশ্য।
রবিবার ২৬ সেপ্টেম্বর দেখা যায় ঘিলাছড়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ওয়ারিছ আলী এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের ইংরেজি ক্লাস নিচ্ছে গাছতলায়।
এমন সময় জানতে চাইলে এইচএসসি পরিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন জানায়, বিদ্যুৎ না থাকায় কয়েকদিন যাবত শান্তিতে ক্লাস করতে পারছিনা। ক্লাসরুমের চেয়ে গাছের তলায় আরাম। এখানে গরম লাগে না বরং ঠান্ডা বাতাসের পরশ পাওয়া যায়। ফলে ক্লাস করতে ভালো লাগে।
বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ওয়ারিছ আলী বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় তীব্র গরমে শ্রেনিকক্ষে ক্লাস করা খুবি কষ্টকর। এমতাবস্থায় দশম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাস থেকে বেরিয়ে এসে গাছের তলায় বসে ক্লাস করতে চায়। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গাছতলায় ক্লাস নেওয়া শুরু করি।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোশাহিদ আলী বলেন, ‘ শিক্ষকের উদ্যোগকে সাধুবাদ না জানিয়ে পথ নেই। এতে ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা স্বস্তিতে পাঠগ্রহণ ও দান করতে পারছেন। তীব্র গরমে বিদ্যুৎ না থাকায়-সব মিলিয়ে বাচ্চারা ক্লাসে থাকতে চাচ্ছে না। গরমের কারণে স্কুলে শিক্ষার্থী উপস্থিতিও দেখাগেছে অনেক কম।
এদিকে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন জটিলতার কারনে অর্ধদিন থাকছেনা বিদ্যুৎ। দোয়ারাবাজারের বেশির ভাগ স্কুল ঘুরে দেখা যায় একই চিত্র। যে সব স্কুল টিনের চালা রয়েছে তাদের অবস্থা আরও করুণ। দুপুর হওয়ার আগেই সেখানে বাজে ছুটির ঘণ্টা।