পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সুনামগঞ্জের ছাতক জোনালের অধীন বিদ্যুৎ গ্রাহকরা বিভিন্ন স্থানে ভুতুড়ে বিলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন এলাকার গ্রাহক বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ও তুলে ধরেন।
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের গ্রাহকরা বিদ্যুৎ অফিস থেকে পাঠানো ভুতুড়ে বিল নিয়ে ভোগান্তির শিকার ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন।
নরসিংপুর ইউনিয়নের পূর্বচাইরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা জহিরুল ইসলামসহ অসংখ্য গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, নিয়মিত মিটার রিডিং না দেখেই বিল তুলে দেওয়া হয়। ফলে কোনো মাসে বিদ্যুৎ বিল খুব কম আবার কোনো মাসে খুব বেশি আসে। আগষ্ট মাসে আমার বিল আসে ৩৫০ টাকা, সেপ্টেম্বরে আসে ১৫৫০ টাকা। এক মাসেই এতোটা পার্থক্য। এরকম হলে বিদ্যুৎ ব্যবহার ছেড়ে দিতে হবে।
গ্রাহক আঃ ছাত্তার, দেলোয়ার, জামাল হোসেন বলেন, বিদ্যুৎ বিল নিয়ে আমাদের অভিযোগ এ প্রথম নয়। ব্যবহিত ইউনিট না দেখেই অতিরিক্ত বিল করা হয়, আবার বিল নিয়ে অভিযোগ করতে গেলে হয়রানির শিকার হতে হয়।
এদিকে দোয়ারাবাজারের নরসিংপুর, বাংলাবাজার, বোগলা, সুরমা, দোহালিয়া, লক্ষিপুরসহ কয়েকটি ইউনিয়নের গ্রাহকরা জানান, সার্ভিস চার্জ, ভ্যাট ছাড়াও বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে প্রতি মাসে ১০ টাকা হারে মিটার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। টাকা দিয়ে মিটার কিনে নেওয়ার পরও মাসে মাসে মিটার ভাড়া দিতে হচ্ছে। এসব বিষয়ে সঠিকভাবে তদারকি করারও কেউ নেই। লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ চলে গেলে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও কারণ জানতে চেয়ে প্রকৌশলীসহ সংশ্নিষ্টদের মোবাইলে ফোন করলেও অনেক সময় ফোন রিসিভ করেন না।
অভিযোগ রয়েছে, মিটার রিডিং না দেখেই বিল তৈরি করছে কিছুসংখ্যক পল্লী বিদ্যুৎ কর্মী। গ্রাহকরা বিদ্যুৎ অফিসে গিয়েও কোনো কূলকিনারা পাচ্ছেন না। এতে একদিকে বিদ্যুতের লোডশেডিং, অন্যদিকে বাড়তি বিদ্যুৎ বিল, সবমিলিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গোবিন্দগঞ্জ জোনাল অফিসের ভিলেজ সুপারভাইজার নুসরাত জাহান বলেন, বিদ্যুৎতের মিটার বিক্রি করা হয়নি যার কারনে তার বিক্রয় মূল্য হিসেবে প্রতিমাসে ১০ টাকা মিটার বাড়া নেওয়া হচ্ছে এবং গ্রাহকদের সঙ্গে বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কখনও খারাপ আচরণ করেননি। তাছাড়া যেসব গ্রাহক অতিরিক্ত বিলের অভিযোগ নিয়ে এসেছে অফিস থেকে তাদের সমস্যা সমাধান করে দেওয়া হয়েছে। পূনরায় যেসকল গ্রাহক অতিরিক্ত বিলের অভিযোগ করেছে তাহারা হয়তো বিলের বিষয়ে সম্পুর্ন অবগত নয়। অফিসে আসলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে তাদের সমস্যা সমাধান করে দেওয়া হবে।