সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের মামুদনগর গ্রামে এক অসহায় মহিলার জায়গা দখল, গাছ কাটা, মারধর, বাড়ি ঘর ভাংচুর করে লুটপাঠের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় আতংকিত হয়ে ভুক্তভোগীর স্বামী বিকাশ দাস উচ্চ রক্তচাপে মৃত্যুবরণ করে বলে গ্রামবাসী জানান।
হামলায় আহত মহিলা ভাগ্যবতী দাস ১৪ জনকে আসামী করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেছে। তবে গ্রামবাসীর আশ্বাসে এক সপ্তাহ সময় বেধে দেওয়া হয়েছে ঘটনার মীমাংশা করার জন্য।
এদিকে ভুক্তভোগী পরিবারের দাবী হামলাকারীর প্রভাবশালী হওয়ায় গ্রামে তারা আতঙ্কে আছেন। তবে পুলিশের দাবী জায়গা সংক্রান্ত বিষয় হওয়ায় সামাজিকভাবে শেষ করার জন্য গ্রামবাসীকে সময় দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মামুদনগর গ্রামের অজয় সরকার একজন প্রভাবশালী লোক। তাই দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। জোরপুর্বক অন্যের জমি দখল ও বাড়ির গাছ কাটাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। আর এই কাজে সহযোগীতা করছে একই গ্রামের রুনু দাস। এলাকার মানুষের জায়গার কাগজপত্র জালিয়াতি করে বিভিন্ন লোকের কাছে বিক্রি করাই হচ্ছে রুনুর পেশা। তার রোষানল থেকে ছাড় পায়নি অসহায় ভাগ্যবতীও। চার ছেলে মেয়ে নিয়ে জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করছেন।
এমতাবস্থায় তার ৭ শতক জায়গা দখল করতে অজয় সরকার ও রুনুর নেতৃত্বে ২০/২৫ জন লোকে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করে মহিলাকে মারধর করে স্বর্ণালংকার লুটপাট করে নেয়। এ নিয়ে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে একটি অভিযোগ দিলে এসআই শিমুল মন্ডল বিষয়টি তদন্ত করে অজয় সরকারসহ রুনুকে সতর্ক করেন। গত শনিবার অজয় সরকার তার দলবল নিয়ে এই হামলা চালান বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভাগ্যবতী দাস জানান, গরীব অসহায় হওয়ায় পেটের তাগিদে ঢাকায় থাকতেন। সেখান থেকে বাড়ির কাগজপত্র টিকটাক করার জন্য রুনুকে ৫০ হাজার টাকা দেন। পরে এই টাকা দিয়ে বাড়ির জায়গাটি রুনু তার নিজের নামে করে নেয়। তিনি আরো আমাদের জায়গা অন্যজনের কাছে বিক্রি করার প্রতিবাদ জানালে রুনুসহ অজয় সরকারের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় ।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকতা শিমুল মন্ডল জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেছি। সামাজিকভাবে শেষ করার জন্য গ্রামবাসী সময় নিয়েছে। তাই আগামী ৭ দিনের মধ্যে মীমাংশা না করতে পারলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।