সোহেল মিয়া, দোয়ারাবাজার( সুনামগঞ্জ):
প্রবাসী বাবা মেয়ের বিয়ের টাকা পাঠাতে গিয়ে ভুলক্রমে চলে যায় অন্যত্র পুলিশের সহযোগিতায় ফিরে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার মাইজখলা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হামিদ। জায়গা জমি বিক্রি করে দুইবছর ধরে সৌদি আরবে গিয়ে বাগান শ্রমিকের কাজ করেন তিনি।
পরিবারে প্রথম মেয়ের বিয়ে টিক হয়েছে বিয়ের খরচ বাবধ ধারদেনা করে মোট ৬৭,৪৯০ টাকা তার এক আত্মীয় ছাতক উপজেলার রংপুর গ্রামের বাসিন্দা জুয়েল আহমদ কে দিয়ে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পরিবারের কাছে পাঠানোর দ্বায়িত্ব দেন। টাকা পাঠাতে গিয়ে দূর্ভাগ্যবশত একটি ডিজিট ভুল হয়ে যায় ফলে টাকা চলে যায় অন্যত্র। পরবর্তীতে এব্যাপারে জুয়েল আহমেদের পিতা আব্দুর রুফ দোয়ারাবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন দোয়ারাবাজার থানার ওসি তদন্ত মনিরুজ্জামান খান তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তায় জানতে পারেন যে টাকা সিলেট জেলার জৈন্তাপুর থানার বাসিন্দা আতাউর রহমানের মোবাইল নাম্বারে। পরবর্তীতে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ দেব দুলাল ধর এবং ওসি তদন্ত মনিরুজ্জামান খানের আন্তরিক প্রচেষ্টায় জৈন্তাপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় টাকা উদ্ধার করা হয়।
আতাউল রহমান জানান, নাম্বার টি কয়েকদিন যাবত বন্ধ থাকায় আমি বুঝতে পারিনি যে আমার নাম্বারে টাকা ঢুকেছে। পুলিশের সহায়তায় সঠিক মানুষের কাছে টাকা তুলে দিতে আমি আনন্দিত।
এব্যাপারে অভিযোগ কারী আব্দুর রুফ জানান, এই টাকার জন্য দুদিন যাবত আব্দুল হামিদ খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দূর চিন্তায় ভুগছিল দোয়ারাবাজার থানার আন্তরিকতা ও দ্বায়িত্ব বোধের ফলে টাকা ফিরে পেয়ে আমরা আনন্দিত।
স্থানীয় বাসিন্দা নেতা দেলোয়ার জানান, মামলার বাদী আমার আত্মীয় সুবাদে শুরুতে উনাকে থানা পুলিশের সহায়তা নিতে পরামর্শ দেই। টাকা উদ্ধার করতে দোয়ারাবাজার ও জৈন্তাপুর থানার কর্তব্যপরায়ণ কর্মকতাদের মানবিকতা সত্যি প্রশংসনীয়। একজন দূরবস্থাগস্থ পিতা মেয়ের বিয়ের এই টাকা পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন।
দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ দেব দুলাল ধর জানান, অভিযোগকারির ভুলে বিকাশ লেনদেনটি সংঘটিত হয়েছিল। টাকা প্রকৃত মালিকের নিকট ফেরত দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেন করতে সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন করতে আহবান জানান তিনি।