সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের কাজুয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা ভ্রাম্যমান আদালতে দুজনকে ১ লক্ষ টাকা জরিমান করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবু তালেব। ২৮ মার্চ সোমবার বিকেল ৫টায় উপজেলার নারকিলা মৌজার কাজুয়া নদীর পাড় থেকে গোলজার আহমেদ(৪৫) ও শাহাবুদ্দিন (৪০) নামের দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
এসময় ৬টি সেলু মেশিনসহ ড্রেজারের সরঞ্জামও নিয়ে আসা হয়।
পরে রাত ৯টায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা করে দুজনকে এক লক্ষ টাকা জরিমান করা হয়। অনাদায়ে দুজনকে দু বছরের কারাদন্ড দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু তালেব।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের টুকচানপুর গ্রামের গোলজার ও দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের সরালিতোপা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আলা উদ্দিনের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হয়। আর এসব বালু দিরাই উপজেলার সওজের একটি রাস্তায় ও ব্রিজের এপ্রোচে মাটি ভরাটের নামে বিক্রি করছে এই সিন্ডিকেট চক্রটি। স্থানীয়রা বালু উত্তোলন বন্ধে নিষেধ দিলেও তা মানেনি এই শক্তিশালী চক্রটি।
পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করা হলে শাল্লা থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। আটকের পরে শাহাবুদ্দিন জানান, হবিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান সুবল চন্দ্র দাসের নির্দেশে এখান থেকে বালু উত্তোলন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব জানান, বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে একজনকে আটক করা হয়। পরে মুলহোতা গোলজার স্বেচ্চায় এসে ধরা দেয়। এরপর দুজনকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।